আসিফ মহিউদ্দীনের আসলে টি আর পি দরকার।যতোটুকু জানি, আসিফ মহিউদ্দীন পড়াশুনায় খুব একটা ভালো ছিলো না। একাডেমিক জীবনে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকাতে না পেরে জীবন নিয়ে যখন খুব হতাশ হয়ে পড়ে, তখন সে বেছে নিলো জীবনধারণের অন্য উপায়। একে তো ইউরোপের উচ্চবিলাসী জীবন যাপনের শখ, তারমধ্যে আবার পড়াশুনায় এক্কেবারে যাচ্ছেতাই ফলাফলের কারণে না তার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছিলো, না সে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাঁচতে পারছিলো। হতাশা, বিষাদ আর স্বপ্নভঙ্গের তাড়নায় সে বেছে নিলো ধর্মবিদ্বেষীতার পথ।
ধারণা ছিলো, নাইন ইলাভেনের পরে পশ্চিমারা ইসলাম ধর্মকে একেবারে দমিয়ে ফেলবে। মানুষ এই ধর্ম থেকে দলে দলে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু নাইন ইলাভেনের ফলাফল হলো উল্টোটি। অর্থাৎ, নাইন ইলাভেনের পরে মানুষ দলে দলে ইসলাম থেকে বের হওয়ার বদলে ইসলামে শামিল হতে লাগলো। ওই যে আল্লাহর ওয়াদা,- 'তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহ কৌশল করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী'।
আল্লাহ তাদের দাবার গুটি বদলে দিলে তারা যেন দিক্বিদিক হারা হয়ে পড়ে। তখন তৎপর হয়ে উঠে কিছু খ্রিষ্টান এবং ইহুদি মিশনারি গ্যাং। এরা পুরো বিশ্বজুড়ে কিছু টার্গেটেড মানুষ দিয়ে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে যাচ্ছেতাই লিখিয়ে, ভিডিও করিয়ে প্রচার করতে থাকে।
তাদের মেইন টার্গেট দু'টো।
১। এভাবে সরলমনা মুসলিমদের মধ্যে সন্দেহের জাল তৈরি করে দেয়া।
২। মুসলমানদের কেউ যখন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পাওয়ার ফলে সেসব ব্লগার, ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়, তখন মিশনারীরা সেই ঘটনাকে হাইলাইট করে পুরো বিশ্বকে দেখায় যে - মুসলিমরা হলো সন্ত্রাসী।
সে সমস্ত ব্লগার, ইউটিউবারদেরকে এসব মিশনারী গোষ্ঠীই স্পন্সর করে থাকে। আমাদের আসিফ মহিউদ্দীন নামের জার্মানে এসাইলাম প্রবাসী নাস্তিকটাই সেই গ্যাংয়ের একজন।
মজার ব্যাপার হলো, আসিফরা যে লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, সেই উদ্দেশ্য এখানে খুব বেশি ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মানুষ তাদের উদ্দেশ্য জেনে ফেলেছে। তাদের ভন্ডামি, তাদের জালিয়াতি বারবার আমাদের সামনে চলে আসার পরে বাংলার বিশ্বাসী মানুষ তাদেরকে একরকম 'একঘরে' করে ফেলেছে বলা যায়। এমতাবস্থায় তাদের যারা স্পন্সর করে থাকে, তারাও যেহেতু খুব ভালো আউটপুট পাচ্ছেনা আসিফদের কাছ থেকে, তারাও হয়তোবা আসিফদের পেছনে আর নতুন করে বিনিয়োগ করতে চায় না বা চাচ্ছে না। হতে পারে তাদের টার্গেট নতুন কেউ।
কিছুদিন পর পর আমরা নতুন নতুন কিছু সো কল্ড মুক্তমনাদের আবির্ভাবের খবর পাই। এই যেমন- একসময়ের সো কল্ড মুফতি আবদুল্লাহ মাসুদ কিংবা জামাত-শিবিরের পক্ষে লেখালেখি করে পেট চালানো একসময়ের সো কল্ড ইসলামিস্ট মুফাসসিল ইসলাম। মিশনারীদের বিনিয়োগ হয়তোবা এখন তাদের পেছনেই।
কিন্তু, আসিফ মহিউদ্দীনদের পেছন থেকে মিশনারীদের বিনিয়োগ উঠে গেলেও তাদের পেট তো হাওয়া হয়ে উবে যায়নি। তাদের পেট বহাল তবিয়তে বর্তমান আছে। আগে আসিফ একজন ছিলো। এখন হয়েছে তিনজন। বউ আর বাচ্চা নিয়ে তাকেও তো চলতে হবে। তাই সে নতুন ধান্ধা শুরু করেছে।
ধান্ধাটা হলো ব্লগ। তার নিজের ব্লগে ভিউয়ার বাড়িয়ে টাকা উপার্জনে সে এখন মরিয়া। কিন্তু তার যে ক্লাস আর যে রুচি- তাতে তার ব্লগে তার স্বগোত্রীয়রাও ঢুঁ মারেনা। এমতাবস্থায় সে তার ব্লগে ভিউয়ার বাড়াতে 'আরিফ আজাদ' এর নাম ব্যবহার করছে। আমার নামে একাউন্ট খুলে, আমার তৈরি করা চরিত্র 'সাজিদ' কে কেন্দ্র করে লিখে, আমার লিখা গল্পকে কাঁটছাট করে সে ব্লগে দিচ্ছে আর বলে বেড়াচ্ছে সেসব আমিই লিখেছি তার ব্লগে। ইন্টারনেট জগতে ব্লগের অভাব পড়েছে যে আমি তার মতো সস্তা আর ক্লাসলেস ছেলের ব্লগে লিখতে যাবো।
যাহোক, আমার নাম ব্যবহার করে লেখালেখি করাতে সম্ভবত তার ব্লগে ভিউয়ার আর তার নিজের টি আর পি কিছুটা হয়তো বাড়ছে। সে বুঝতে পেরেছে, তসলিমা নাসরিন, অভিজিৎদের নাম ইউজ করে আর কোন ফায়দা নেই। কারণ, এদের আর কেউ গনায় ধরে না। আরিফ আজাদের নাম ব্যবহার করে যদি কিছু আয় উপার্জন করা যায় তো খারাপ কি?
আসিফরা হয়তো মনে করেছে আমার আইডি রিপোর্ট করে উড়িয়ে দিলেই হয়তোবা আমি চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যাবো। কি অদ্ভুত!!
ন্যাশনাল আইডি কার্ড সাবমিট দিলেই যেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে ফেইসবুক আইডি ব্যাক দেয়, সেখানে আসিফরা কোন সেন্সে 'যুক্তির বদলে যুক্তি' 'লেখার বদলে লেখা' ছেড়ে 'লেখার বদলে রিপোর্ট' নীতি বেছে নিলো? হায়!! এতো আকাল পড়েছে তাদের চিন্তা আর যুক্তিতে? আপসোস!!
আসিফদের বলতে চাই, আরিফ আজাদ এখন আর কোন ব্যক্তির নাম নয়। আরিফ আজাদ এখন একটা আইডিয়ার নাম, আলহামদুলিল্লাহ্। বাংলার লাখো বিশ্বাসী হৃদয়ে সাজিদ একটা ভালোবাসার নাম। আসিফরা যদি মনে করে যে একজন আরিফ আজাদকে চুপ করিয়ে দিলেই কাজ শেষ হবে, তাহলে ভুল। এখন লাখো সাজিদ, লাখো আরিফ আজাদ চারপাশে। তারা আসিফদের ভন্ডামি, নোংরামি আর জালিয়াতি বারবার মানুষের সামনে নিয়ে আসবে। একঘরে আসিফরা চিরকাল ঘৃণা আর আবর্জনার আস্তাকুড়েই থাকবে, ইন শা আল্লাহ।
একঘরে আসিফ মহিউদ্দীনরা চিরকাল ঘৃণা আর আবর্জনার আস্তাকুড়েই থাকবে
Reviewed by bd
on
05:15
Rating:
No comments: